
মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, সমাবেশে নেতা-কর্মীদের আসার পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপরও সমাবেশে প্রচুর লোকসমাগম হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু হানিফ খান বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারা বাধা দিছে, আমি জানি না। আমি এখন ঢাকায় আছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এমাদুল হক খান বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। বরং আমরা চেয়েছি, বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হোক।’
উন্মুক্ত স্থানে বিএনপির সমাবেশ না করতে দেওয়ার বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ বিএনপিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে পুলিশ সমাবেশে কোনো বাধা দেয়নি।
এদিকে দেশব্যাপী লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ বাজারে গিয়ে চাল কিনলে ডাল কিনতে পারেন না। আবার ডাল ও মরিচ কিনলে চাল কিনতে পারছেন না। দেশের মানুষ অভাবে রয়েছেন। অভাবে মা তাঁর সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। মানুষ ঋণের দায়ে আত্নহত্যা করছে। আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি। জিয়াউর রহমান বাকশাল বিলুপ্ত করে সব দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপিকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এলিজা জামান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব গাজী অহিদুজ্জামান, সদস্য আবুল কালাম আকন, মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবির, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।