
কুমিল্লা জেলার দাঊদকান্দি উপজেলার শহীদনগর এম. এ জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়া পদের প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে থাকে ৪/৫জন। উক্ত পরীক্ষায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নানসহ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যগন পরীক্ষার হলে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে উপস্থিত ছিলেন।
দাঊদকান্দি উপজেলার শহীদনগর এম. এ জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান তার নিজের আপন বড় বোন জোসনা বেগমের মেয়ে লাকি আক্তারের জন্য গোপনীয়তার সহিত পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ভাবে প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই প্রশ্ন মোতাবেক অন্যান্যদেরও পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরীক্ষার হলে আমাদের সামনেই স্বশরীরে উপস্থিত থেকে তার ভাগিনীকে পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়েছেন বলে প্রতিবেদককে অভিযোগ করেন-বিদ্যালয়ের আয়া পদে পরীক্ষা দিতে আসা মনি বেগম ও ফাতেমা আক্তার।
অভিযোগকারীরা বলেন- আমাদের কাছ থেকে সভাপতি আব্দুল মান্নান ২,০০,০০০/- কথায়: (দুই লক্ষ টাকা) দাবি করেছিল এবং আমাদের দু’জনকেই আলাদা ভাবে বলে যে, টাকা রেডি রাখ আমি চাকরির ব্যবস্থা করবো। আমরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নানের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে অক্ষম বিধায় তিনি আমাদেরকে ডেকে বলেন তোমাদের পরীক্ষা দিয়েও কোন প্রকার পায়দা নেই। অথচ দুর্নীতি করে সভাপতি আব্দুল মান্নান এর আপন বোন জোসনা বেগমের মেয়ে লাকি আক্তারের চাকরি নিশ্চিত করে আগামী ১/১২/২০২৩ইং চাকরিতে যোগান করার জন্য শহীদনগর এম. এ জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান নিয়োগপ্রাপ্ত (আয়া পদে) লাকি আক্তারকে নিয়োগপত্র চিঠি প্রেরণ করে।
ইতিপূর্বে পূর্বেও কুমিল্লা দাঊদকান্দি শহীদনগর এম. এ জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান অত্র বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদে তার আপন খালা শাশুড়ী আছমা উল হোসনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বয়স ও অন্যান্য তথ্যাদি জালিয়াতি করে চাকরির নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করলেও পরবর্তীতে ১/২মাস পর জালিয়াতির তথ্য ও প্রমাণের ভিক্তিত্তে চাকরি হতে বরখাস্ত করেন কর্তৃপক্ষ। আবেদনের সাথে পূর্বে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি পদে জালিয়াতি করে নিয়োগপ্রাপ্ত আসমা উল হোসনার নিয়োগ পত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র ৩টির ফটোকপি সংযুক্ত করা হলো। এতে বুঝা যায়, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান অবৈধ অর্থ নিয়োগ প্রাপ্তদের হতে আত্মসাৎ করে দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ড সম্পন্ন করছেন। বিশেষ সূত্রে জানা যায়-দাঊদকান্দি শহীদনগর এম. এ জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান বর্তমানে অফিস সহকারী গণপূর্ত অধিদপ্তরে কর্মরত।
সে বর্তমানে কি বেতন পায় যা দিয়ে ঢাকার আগারগাঁওয়ে মান্নান ট্রেড সেন্টার নামে ১৫তলা ভবন নির্মাণ করেছে। আব্দুল মান্নানের ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না, বলতে গেলে সবাইকে সে আইনের ভয় দেখায়। আব্দুল মান্নানের দুর্নীতির বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন-অভিযোগটি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে,প্রতিবেদন ও অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ পূণরায় আবারও উক্ত পদে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হইবে।