
গোপালগঞ্জে বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ও উপসি ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউ গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসন ও সাধারণ সেবা বিভাগের পরিচালক ড: মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ।

ফাইল ছবি
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্বতী বৈরাগী উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিবৃন্দ কৃষকদের হাতে বীজ তুলে দেন।
এরপর গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া এবং মোল্লাহাট উপজেলার কৃষকদের নিয়ে ব্রিধান-১০৩ এর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউ গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্য মো জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রি উদ্ভাবিত উপসি ধানের জাত ব্রি ধান-১০৩ এর ফলন জনপ্রিয়তা পাওয়া ব্রি ধান-৮৬ এর থেকেও বেশি। এই ধানটি গোপালগঞ্জ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিবেশে চাষাবাদে অত্যন্ত উপযোগি। তিনি বলেন এই ধানটি চাষাবাদ করলে কৃষক আরো বেশি লাভবান হবেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসন ও সাধারণ সেবা বিভাগের পরিচালক ড: মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ব্রি-ধান ১০৩ আমন সিজনের একটি উচ্চ ফলনশীল ধান। এর হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৬ টন। যা স্থানীয় জাতের তুলনায় অনেক বেশি।
তিনি আরো বলেন, বোরো মৌসুমের জন্য ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ধানের জাত ব্রি হাইব্রিড-৩, ব্রি হাইব্রিড ৫ এবং ব্রি হাইব্রিড ৮ এর ফলন বিদেশ থেকে আনা অন্যান্য হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি। আগামী ২০২৫ সাল থেকে বিদেশী হাইব্রিড ধানের বীজ আনা বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। তাই ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ও উপসি ধানের চাষাবাদে সকল কৃষককে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।