
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ প্রশ্ন ফাঁস চক্রের হোতা অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বরখাস্ত মানিক দম্পতির বিরুদ্ধে রাজশাহী আদালতে প্রতারণা মামলা করছে ভুক্তভোগী উৎপল চন্দ্র (৩৩) নামের এক যুবক। গত ১২/৭/২৩ ইং তারিখে রাজশাহী সিএমএম আমলি বোয়ালিয়া আদালতে মানিক ও তার স্ত্রী রিপা রাণী মন্ডলের বিরুদ্ধে উৎপল চন্দ্র বাদী হয়ে ৪০৬/৪২০ ধারায় প্রতারণা মামলা করেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, মানিক কুমার প্রামাণিক রাজশাহী সপুরা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন অগ্রণী ব্যাংক অফদা শাখায় সিনিয়র অফিসার এর দ্বায়িত্ব পালনের সময় চাকুরী দেওয়ার নামে একাধিক ব্যাক্তির কাছে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া মানিক প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত থাকায় তাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মানিক কে জেল হাজতেও যেতে হয়। যে কারণে মানিক কুমার প্রামানিক কে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়। উৎপল চন্দ্র, মানিক কুমার কে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রেবা ট্রেডাস একাউন্ট নং (০২০০০০৯৫৭৭৫৭৯) রাইঘাটি শাখা রাজশাহী ২৩/১২/১৯ ইং তারিখে, ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং রাইঘাটি কেশরহাট ট্রেডিং নামে মানিকের ব্যবসায়িক একাউন্টে যাহার নাম্বার ( ০২০০০১৫২১০২২৬) গত ৩০/৯/২০ ইং তারিখে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছে। আর বাকি টাকা রাজশাহী আলুপট্টি বেঙ্গল কনফেকশনারী রাস্তার পাশে সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে গত ১/১১/১৯ ইং তারিখে মানিকের হাতে নগদ ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছে উৎপল চন্দ্র। মানিক কুমার প্রামাণিক কেশরহাট পৌরসভার ধামিন নওগাঁ গ্রামের রতন কুমার প্রামাণিকের ছেলে। মানিকের ছোট ভাই মুক্ত প্রামাণিক একজন কানাডা প্রবাসী। এছাড়াও মানিক ও তার স্ত্রী একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। রিপা রাণী মন্ডল নওগাঁ জেলার মামুদপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন মন্ডলের মেয়ে। পেশায় রিপা রাণী মন্ডল রাজশাহী মোহনপুর গোপইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষিকা। মানিক কুমার প্রামানিক ও রিপা রাণী মন্ডল বিলাস বহুল জীবন যাপন করে। বর্তমানে তারা ধামিন নওগাঁ এলাকায় ডুপ্লেক্স একটি বাড়িতে বসবাস করছে। মানিকের ছেলে রাজশাহী প্যারামাউন্ট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে লেখাপড়া করছে। এসবই মানুষের কাছে থেকে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা করা অর্থ দিয়ে। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে একাধিক বার মানিক দম্পতির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেনি।