
স্টাফ রিপোর্টারঃ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায় প্রদান রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক ও ফরমায়েশী উল্লেখ করে অদ্য ০২-আগষ্ট রোজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাবির সভাপতি প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডঃ মোঃ মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অসত্য অভিযোগে গত ১৩ই এপ্রিল ২০২৩ তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১৬ কার্য দিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। দুইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে রাত ৭টা পর্যন্ত। কোর্ট অফিসার হিসেবে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের থাকার কথা থাকলেও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে তাদের বের করে দিয়েছে। নজিরবিহীন সব ঘটনার মধ্য দিয়ে অতিদ্রুত এই মামলার কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে যা দুরভিসন্ধিমূলক।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১০১বার পেছানো হয়েছে। রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৩ বার পেছানো হয়েছে। এসব জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। কিন্তু জনাব তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনার ভূয়া মামলার রায় মাত্র ১ মাস ২০ দিনে প্রদান এটাই প্রমান করে যে এই রায়ে সরকার আদালতের মাধ্যমে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করছে। এই ধরনের রায় দিয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।
নেতারা আরও বলেন, এই সরকার দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগ তার মধ্যে অন্যতম। যার প্রমাণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। নজীরবিহীনভাবে নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কর্তৃক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিগত ১৪ বছরে সারাদেশে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, যে কোন উপায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান তথা জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করে দেশে পুনরায় ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করা। তাদের সেই আশা দেশের জনগণ কখনোই পুরণ হতে দেবেনা।
তারা আরও বলেন, অতীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে যেভাবে সাজা প্রদান করা হয়েছে ঠিক একই কায়দায় চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সফল নেতৃত্ব দানকারী তরুণ প্রজন্মের নেতা, বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার স্থল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে অযোগ্য প্রমাণ করা এবং বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য করার যে অপপ্রয়াস সরকার চালাচ্ছে তা এদেশের জনগণই প্রতিহত করবে।
এই ফরমায়েশি রায়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের উপদেষ্টা প্রফেসর সায়েদুর রহমান পান্নু, প্রফেসর আমজাদ হোসেন, প্রফেসর মো. ফজলুল হক, প্রফেসর সাহেদ জামান, প্রফেসর মতিয়ার রহমান, ফোরামের সহসভাপতি প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রফেসর ড. তোফাজ্জল হোসেন, প্রফেসর নুরুল হক মোল্লা, ফোরামের সদস্য প্রফেসর খন্দকার ইমামুল হক, প্রফেসর হাবিবুর রহমান, প্রফেসর মামুন উর রশিদ, প্রফেসর রেজাউল করিম, প্রফেসর আবু রেজা তুহিন, প্রফেসর আফরিনা মামুন, প্রফেসর দিল আরা হোসেন, প্রফেসর মুর্শিদা বিনতে হাবিব, প্রফেসর আখতার হোসেন রানা, প্রফেসর মোহা: হাছানাত আলী, প্রফেসর মো: আব্দুল আলীম, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক মোঃ সাজ্জাদুর রহিম সাজিদ, প্রফেসর সাবিরুজ্জামান সুজা, প্রফেসর পারভেজ আজহারুল হক প্রিন্স, প্রফেসর মোঃ আতিকুল ইসলাম, প্রফেসর আব্দুল খালেক, প্রফেসর মনিমুল হক, প্রফেসর মো: আবুল হাসান, প্রফেসর আনোয়ারুল কবির ভুঁইয়া রুবেল, প্রফেসর আসাদুল হক, প্রফেসর আকতার বানু, প্রফেসর ফাহমিদা পারভিন, প্রফেসর আমিনুল হক, প্রফেসর আমীরুল ইসলাম, প্রফেসর আনিসুর রহমান, প্রফেসর মইজুর রহমান, প্রফেসর মোজাফফর হোসেন, প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল, প্রফেসর ড. মতিউর রহমান, প্রফেসর মো রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর শামসুজ্জোহা এছামী, প্রফেসর সারোয়ার জাহান, প্রফেসর নেসার উদ্দিন, প্রফেসর ইফতেখারুল আলম মাসুদ, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, প্রফেসর সারোয়ার পারভেজ, প্রফেসর কুদরতই জাহান, প্রফেসর শামিমা নাসরিন সিমা, প্রফেসর কামরুজ্জামান, প্রফেসর মো. নূরুল মোমেন, প্রফেসর ইসমাইল তারেক, প্রফেসর হারুনর রশিদ ও অধ্যাপক সামিউল ইসলামসহ ফোরামের সকল সম্মানিত সদস্যবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন।