Home » নবীগঞ্জে প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে জীবন দিতে হলো মোস্তাকিনের।

নবীগঞ্জে প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে জীবন দিতে হলো মোস্তাকিনের।

by নিউজ ডেস্ক
views

স্বপন রবি দাশ,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাবীর সঙ্গে রায়হানের পরকীয়ার ঘটনা দেখে ফেলায় কিশোর মোস্তাকিনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামী রায়হান উদ্দিন।

রায়হানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাসলিমা আক্তার (২০) ও রোজিনা বেগম (২৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

banner

শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় মোস্তাকিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী রায়হান উদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা।

উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৪র্থ ছেলে মোস্তাকিন মিয়া (১৭)কে গত ২৪ নভেম্বর রাতে তার শয়ন কক্ষে জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনার প্রথম থেকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংবাদকর্মীরা ভাবীদের পরকীয়ার বলি হয়েছে কিশোর মোস্তাকিন এমন ধারনা পোষন করে আসছিল। কিন্তু নিহতের মা ফুলবানু বিবি ছেলের বউয়েরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা বিশ্বাস করতে নারাজ। তিনি একই গ্রামের রায়হান উদ্দীন সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর থেকে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশ আসামী গ্রেফতার করতে নানা স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনার ১১ দিন পর র‌্যাব-৯ এর সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী রায়হান উদ্দীনকে গ্রেফতার করে।

গতকাল শুক্রবার সে আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার দেখানো মতে জমি থেকে একটি তালা চাবী এবং তার শয়ন কক্ষে তল্লাশি করে রায়হানের পরনের জিন্সের প্যান্ট এর পকেট থেকে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। ঘাতক রায়হান জানায়, দীর্ঘ ৩ বছর ধরে প্রথমে নিহতের মেজো ভাবী তাছলিমা বেগমের সাথে পরে বড় ভাবী রোজিনা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামে বিচার শালিস হয়। বিচারে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপরও রায়হান উদ্দীন প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। গত ২৪ নভেম্বর রাত অনুমান ৮/৯ টার দিকে তাদের বাড়িতে যায়। প্রথমে মেজো ভাবী তাছলিমা বেগমের সাথে মেলামেশা করে। পরে বড় ভাবী রোজিনা বেগমের রুমে যাওয়ার সময় নিহত মোস্তাকিন দেখে ফেলে। এ সময় মোস্তাকিন তাকে বলে, এর আগেও তুমি আসা যাওয়া করছো, তোমাকে নিষেধ করলেও শুননা। মা ফুলবানু বিবি বাড়িতে আসলে সব বলবো। তখন দুই বউ ও রায়হান পরিকল্পনা করে মোস্তাকিনকে হত্যা করার। পরিকল্পনানুযায়ী রায়হান ইমামবাড়ী বাজার থেকে ১ টি ছুরি ও দুইটি তালা কিনে আনে। পরে ৩ জন নিহত মোস্তাকিন মিয়ার শয়ন কক্ষে যায়। সেখানে মেজো বউ তাছলিমা বেগম তার দু’পা ধরে রাখে। বড় বউ রোজিনা বেগম তার হাত ও শরীরে ধরে রাখে। এসময় রায়হান উদ্দীন বাম হাত দিয়ে মোস্তাকিনের মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। পরে রায়হান পালিয়ে যায়। এদিকে পরিকল্পনানুযায়ী নিহত মোস্তাকিনের ভাবীরা সুর চিৎকার করে কান্না করতে থাকে।

উল্লেখ্য,ওই গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৫ ছেলে। প্রায় ৬ বছর আগে জফর মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। মৃত জফর মিয়ার বড় ছেলে ফজলু মিয়া দুবাই এবং মেজো ছেলে সজলু মিয়া ওমান প্রবাসী, ৩য় ছেলে সজল মিয়া মৌলভীবাজার থানার সরকার বাজারে ইটভাটায় কাজ করে,চতুর্থ নিহত মোস্তাকিন মিয়া বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতো। ছোট ছেলে তামিম মিয়া ৩য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। বড় দুই ছেলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৮) ও তাসলিমা আক্তার (২০) সহকারে মামলার বাদী ফুলবানু বেগম ৪ বেডরুমের বসতঘরে বসবাস করে আসছিলেন।

You may also like

Leave a Comment

NatunMatra Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: অভিলাস দাস তমাল

বার্তা সম্পাদক: এহেসান হাবিব তারা

উপদেষ্টা: মাসুদ রানা রাব্বানী

নিউমার্কেট পূবালী  ব্যাংকের গলি, সুলতানাবাদ, ঘোড়ামারা, রাজশাহী – ৬১০০

মোবাইল: ০১৭৭২-৩৫৯২২২, ০১৭১১-৯৫৪৬৪৭ 

মেইল: news@natunmatra24.com

Edtior's Picks

Latest Articles

Natun Matra All Right Reserved. Designed and Developed by Ecare Solutions

শিরোনাম: