

বাঘায় সকালে লাশ উদ্ধার, রাতেই খুনি আটক।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র সাব্বির (১৭) হত্যার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনসহ হত্যাকারী মুন্না কে আটক করেছে বাঘা থানা পুলিশ। বুধবার (২ নভেম্বর) রাতে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আড়পারা এলাকার সাইকেল মেকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মুন্না (১৮) কে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে, খুন হওয়া সাব্বির হোসেন উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের হায়দার আলী ছেলে। সে আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। সাব্বিরের পিতা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। মাঝে মধ্যে সেও ভ্যান চালাতো। অন্য দিনের মত গত ৩০ অক্টোবর (রবিবার) স্কুল শেষে বিকেল ৪ টার দিকে পিতার ব্যাটারি চালিত ভ্যান নিয়ে ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় সে। তবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বাড়ি ফিরেনা সাব্বির। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে একই দিনে সাব্বিরের পরিবার থেকে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে রাত্রি সাড়ে ১১ টায়। থানা সূত্রে , ঘটনাটি জানার পরপরি বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাজ্জাদ হোসেন এর দিকনির্দেশনায় ও তদন্ত (ওসি)মুহঃ আব্দুল করিম এর নেতৃত্বে বাঘা থানার একটি চৌকস দল তদন্তে নামে। ঘটনার পরদিন ৩১ অক্টোবর ( সোমবার) দুপুরে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের আটঘরিয়ার একটি আম বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাটারি বিহিন ভ্যানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ দলটি।এরপর ভ্যানের ব্যাটারি, সাব্বিরের কাছে থাকা একটি স্মার্ট ফোনের সূত্র ধরে খুজতে থাকে পুলিশ। এরপরি ২ নভেম্বর সকালে মনিগ্রাম তুলশিপুর গ্রামের বজলুর মাস্টারের আমবাগান থেকে সাব্বিরের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টা পরেই ব্যাটারির সন্ধান পায় চৌকস পুলিশ টিম টি। ওসি সাজ্জাদ হোসেন এর দিকনির্দেশনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ব্যাটারি ও ব্যাটারি বিক্রেতা মুন্নাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে মুন্না স্বীকার করে সাব্বির কে সে হত্যা করেছে এবং লাশটি সে নিজে টেনে হেচড়ে আম বাগানে রেখে এসেছে। এছাড়াও হত্যার কারণে মুন্না জানায়, সে এক সুদে কিছু টাকা নেয় এক সুদে কারবারির থেকে। সুদের টাকা দিয়েছে তে না পারায় মানসিক সমস্যায় ছিলো। সুদের টাকা সংগ্রহের জন্যই সে চাপের মুখে ছিলো। সুদ কারবারির টাকা ফিরত দিতেই সে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলেও জানায় মুন্না। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, থানাধীন বাউসা ইউপির আড়পাড় এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আটককৃত মুন্না(১৮) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। সকালে লাশ উদ্ধার এর স্থানেই আমি মুন্নাকে দেখে তার আচারণেই আমার সন্দেহ সৃষ্টি হয়।আমি তখন এস আই তৈয়ব কে মুন্নার দিকে নজর রাখতে বলেছিলাম। আমার সন্দেহ সঠিক ছিলো।দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সাব্বির হত্যার রহস্য ও হত্যাকারী আটক করেছি। অপরাধী কখুনও ছাড়া পায়নি, পাবেও না। মুন্নার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামি কে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে পেরন করা হবে। উল্লেখ্য, মুন্নায় প্রথম তার নিজ ফেসবুক পোস্টে সাব্বিরের ছবি দিয়ে লিখে ছিলো ” এই ছেলেটি আজ সন্ধা থেকে নিখোজ সাথে ভেন ছিলো কেও জদি দেখে থাকেন তাহলে আমাদের জানাবেন,,, “। এছাড়াও সাব্বির ও মুন্না প্রতিবেশী।