
ভূমিকম্পের প্রকট ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা। এ ভূমিকম্পের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের রিডিং রুমের দরজা, ভঙ্গুর রেলিং এবং বিভিন্ন রুমের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে ওপর থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েছেন হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে হলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ কর
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ভূমিকম্প শুরু হলের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।এর মধ্যে বেশ কয়েকজন হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত হয় নি বলে জানা গেছে। তবে যারা লাফিয়ে পড়েছেন তাদের কারোরই তাৎক্ষণিক নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। এসময় হলের পাঠ কক্ষের দরজার কাচ ভেঙে পড়ে। আগে থেকেই ভঙ্গুর থাকা রেলিং ভেঙে পড়ে। অনেকেই তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে বের হতে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, হলের ৩৫১, ২৪৪, ২৪৮, ৩৪৮, ৩৪৪ সহ আরো কিছু রুমের ছাদের পলেস্তারা খসে পূর্বেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এমন অবস্থায় ভূমিকম্প হওয়ায় ভঙ্গুর এ সকল স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। ফলে পুরো হলের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ভূমিকম্পের পরে রায়হান কবির নামের হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, “আজকের ভূমিকম্পে যে পরিমাণ আতংকে ছিলো সবাই তার চেয়ে বেশি আতংকে ছিলো যারা মেইন রিডিং রুমে ছিলো। মনে হচ্ছিলো হল ভেঙে রিডিং রুমের উপর পড়তেছে। অনেকের হাত, পা কেটে গেছে ধাক্কা ধাক্কি করে বের হতে। আমার নিজেরও হাত পা কেটে গেছে। তাই আমাদের উচিত প্রভোস্ট স্যারকে ভবনটা পরীক্ষা করানোর জন্য বলা। আমাদের হল কত মাত্রার লোড নিতে পারবে। আজ ৫.২ মাত্রায় ভূমিকম্প হলো এর চেয়ে আরেকটু বেশি হলে হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয়ে যেতে পারতো।”
এ বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান দেশের বাইরে থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।