
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীর অলকার মোড়ে এ এইচ টাওয়ারের ৮ম তালায় হেনা ফাউন্ডেশন নামে একটি আইটি ট্রেনিং সেন্টার আছে। বর্তমানে আইটি ট্রেনিং সেন্টার টি মনিরুল ইসলাম নামের এক যুবক পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু এই আইটি সেন্টার কে ঘিরে জন্ম নিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।
মামলা সূএে জানা যায়, গত ইং ১০/৮/২৩ তারিখে দুপুর ১:৩০ অলকার মোড় থেকে হেনা ফাউন্ডেশনের মালিক মনিরুল ইসলাম কে অপহরণ করা হয়। এ সময় অপহরণকারীরা মনিরুল ইসলাম ভাই সৈয়দ মেহেদী হাসানের কাছে ফোন করে ২০,০০০/ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আর মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা নিয়ে যাওয়ার পূর্বে কৌশলে রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানাকে অবগত করে মনিরুলের ভাই মেহেদী হাসান। মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের কাছে পৌঁছালে দামকুড়া থানা পুলিশের চৌকস টিম গিয়ে ঘটনা স্থল থেকে ৩ জন অপহরণকারীকে আটক করে দামকুড়া থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে দামকুড়া থানায় মনিরুলের ইসলামের ভাই সৈয়দ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মূল আসামী করে ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এ ঘটনায় যে চার জন মহিলা শিক্ষাথী নামে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে। ইতিপূর্বে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন তিতু রাণী হাজরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে করে, লিখিত বক্তব্য তিতু বলে আমি সহ আমার তিন সহকর্মী দীর্ঘ ৬ মাস যাবত হেনা ফাউন্ডেশনে অফিস স্টাফ হিসাবে কর্মরত ছিলাম আমাদের প্রত্যেককে ৮/১০ হাজার টাকা বেতনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ৬ মাস ধরে অফিসে কাজ করিয়েছে। আমরা মনিরুল কে যখন বেতনের কথা বলি সে বিভিন্ন কৌশল এড়িয়ে যাই। এরপ রেও আমরা বেতন পাওয়ার আশায় কাজ করতে থাকি। যখন আমদের কাজের বেতনের জন্য চাপ দিয়ে মনিরুল কে বলি আমাদের কাজের বেতন টা পরিশোধ করেন, আমরা আর আপনার অফিসে আর কাজ করবো না। তখন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মনিরুলের সাথে ঘটে যাওয়া এক ভিন্ন ঘটনায় সাথে আমাদের চার জন অফিস স্টাফ কে জড়িয়ে অপহরণ মামলার আসামি করে। তিতু আরো বলে আমাদের এ ঘটনার দুইদিন পূর্বে মনিরুল আমাদের অফিসের একজন স্টাফ হালিমা আক্তার শিমুর সাথে শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে, এ বিষয়ে রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় হালিমা বাদী হয়ে অভিযোগ করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে তিতু রাণী হাজরা এই হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিকার চেয়ে মামলার সঠিক ও সুষ্ট তদন্তের স্বার্থে,রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান জানাই এই মামলার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন বিন্দু মাএ ছাড় দেওয়া হবেনা।