
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন মির্জাপুর পুলিশ ফাড়ির এ টিএসআই আনিছুর রহমান নামে বিভিন্ন রকম প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে জাহাঙ্গীর আলম নাহিদ (৩০) নামের এক ব্যাক্তি।নাহিদ মেহেরপুর জেলার সোনাপুর থানা এলাকার মোঃ খোকন আলীর ছেলে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, এ টিএসআই আনিছুর রহমান মেহেরপুরে চাকরি করারা সুবাদে জাহাঙ্গীর আলম নাহিদ এর সাথে পরিচয় হয় এবং তারা দুই জন ধর্ম ভাই।
উভয়ে পূর্ব পরিচিত হওয়ায় নাহিদ এর টাকা প্রয়োজন হয় তখন নাহিদ ফারুক আহমেদ ও আনিছুর রহমান এর কাছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ধার চাই। ফারুক আহমেদ ও আনিছুর রহমান তাকে সরল মনে টাকা ধার দেয় ১ মাসের জন্য। এদিকে মাস পার হয়ে গেলেও নাহিদ টাকা ফিরত না দিয়ে তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ঘুরাতে থাকে।
এরই মধ্যে আনিছুর রহমানের বদলী হয় রাজশাহীতে। তারপর থেকে নাহিদ তাদের দুই জনার সাথেই প্রতারনা করতে থাকে এবং বিভিন্ন টাল বাহনা করতে থাকে টাকা ফেরত না দেয়ার জন্যে ।
এদিকে হঠাৎ নাহিদ এর মা অসুস্থ হলে তাকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ২ তারিখে চিকিৎসা করাতে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী আমেনা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় নাহিদ আনিছুর রহমানের স্ত্রীকে ফোন দিয়ে তার মায়ের অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি বলে। তখন আনিছুর রহমান এর স্ত্রী তাকে তার বাসায় দেখা করতে বলেন।
নাহিদ পরবর্তীতে আনিসুর রহমান বাসায় দেখা করতে যায়। তখন আনিসুর রহমানের স্ত্রী নাহিদ কে সংসারের অভাব-অনটন ও বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে এবং বলে তুমি তো আমাদের ভাই তুমি অভাবের সময় আমাদের টাকাটা যদি ফেরত দিতে। নাহিদ তখন বলে আমাকে আগে কেন জানাননি ঠিক আছে ভাবি আমি কিছু টাকা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি এই বলে সে আনিছুর রহমানের স্ত্রীর বিকাশ নাম্বারে তাদের পাওনা ৫০০০০ টাকা দেয়।
বিকাশে টাকা দেয়ার পরে নাহিদ বলে, ভাবি আপনাদের ধারের টাকাটা আমি আস্তে আস্তে শোধ করে দেবো আর কিছুদিন সময় লাগবে এই বলে সেখান থেকে চলে যায়।
এর কিছুদিন পর নাহিদ ধারের বাকি টাকাটি দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আনিসুরের স্ত্রীকে। এছাড়া নাহিদ এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন রকম মিথ্যা কথা প্রচার শুরু করে।
কে এই নাহিদ?
এই নাহিদের নামে তার এলাকাতে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় থানাগুলোতেও রয়েছে তার নামে বিভিন্ন অভিযোগ।নাহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকার কারনেই সে এলাকা ছাড়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়।
এদিকে অর্থ আত্মসাৎকারী নাহিদ পালিয়ে বেড়ানোর কারনে নাহিদকে অত্র এলাকায় সাক্ষাতেও পাওয়া সম্ভব হয়নি এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বিধায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মির্জাপুর ফাঁড়ির এটিএসআই আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তিনি জানান, জাহাঙ্গীর আলম নাহিদ আমার ধর্ম ভাই। আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলো। যাহা স্ট্যাম্পে লিখাপড়া করা আছে। সেই টাকাই আমার স্ত্রীর নগদ ও বিকাশ নম্বরে নিয়েছি। অজ্ঞাত ৪ জন যুবক আপনার বাড়িতে প্রবেশ করে মারপিট করে নগদ ও বিকালে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন এই রকম কনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যপারে মির্জপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই সাহাবুল ইসলাম জানান, এটিএসআই আনিছুরকে আমি বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং স্ট্যাম্পও দেখেছি। তার বক্তব্য অনুযায়ী তার পাওনা টাকা সে বুঝে পেয়েছে। তাই আমার এক্ষেত্রে কিছু করার কিংবা বলার নাই।
জানতে চাইলে রাজশাহী মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ মোবারক পারভেজ জানান, এটিএসআই আনিছুরকে ডেকেছিলাম। তার সাথে কথা হয়েছে। সে পাওনা টাকা পেয়েছে বলে শিকার করেছে। এক্ষেত্রে সে জানিয়েছে – তাকে সন্ত্রাসী কায়দায় কিংবা আটকিয়ে রেখে টাকা আদায় করা হয়নি।