
সাকিবুল ইসলাম স্বাধীনঃ রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর মিছিল ৯ জুন বিকাল ৫টায় মুখোমুখি হওয়ায় পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ শুরু হয়। ২৩ নং ওয়ার্ডের পদপ্রার্থী মেহেদী হাসান রনি জানান আমাদের মিছিল সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল আমি প্রশাসনের কথামতো দিকনির্দেশনা মেনে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ গলির ভিতরে দেখি মাহতাব ভাইয়ের দল বলের মিছিল এগিয়ে আছে । আমি তখন আমার মা বোনদেরকে এক সাইড হতে যেতে বলি আমার কিছু ভাইরা, মা, বোনদের প্রোডাক্ট এর জন্য হাত এ হাত দিয়ে চেইন তৈরি করে। এরপরেও তারা ধাক্কা ধাক্কি শুরু করে। আমি যখন দেখি পরিবেশ উত্তেজনামূলক সৃষ্টি হচ্ছে তখন আমি বোয়ালিয়া থানায় ফোন করি। আমি কৃতজ্ঞ বোয়ালিয়া থানার উপরে আমার ফোনের সঙ্গে সঙ্গে তারা ফোর্স পাঠিয়ে দেয়। পুলিশের গাড়ি আসার পরে মাহাতাব ভাইয়ের বাস শ্রমিক , কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা সরে পড়েন। আমি সাংবাদিক ভাইদের সামনে বলতে চাই এই নির্বাচন একটি মহল্লার এখানে কেন আমার বড় ভাই মাহাতাব হোসেন তার বাস শ্রমিকের কিছু নোংরা পোলাপান ও জেল থেকে জামিন করে কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসিককে নিয়ে এলাকার পরিবেশ নোংরা করছে। আমি একটা সাধারণ ছেলে এলাকাবাসীর ভালবাসার টানে নির্বাচনে নেমেছি। আমি সবাইকে সম্মান করেই ভালোবাসার মাধ্যমে ভোট চেয়ে নিচ্ছি এটাই কেন বাধা সৃষ্টি করবেন। যদি বাধা সৃষ্টি করেন তাহলে আমাকে মেরেই ফেলতে হবে নয়তো আমি জনগণের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাব।
বিভিন্ন এলাকাবাসীকে প্রশ্ন করলে জানা যায় তারা অনেক ক্ষিপ্তভাবে মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর দুর্নাম শুরু করে, তারা বলে মাতাব ভাই কমিশনার হওয়ার পরে না তাকে ঠিক মত অফিসে পাওয়া যায় না তার বাসায়। সে সব সময় বাস সমিতি নিয়েই ব্যস্ত থাকে । তাহলে আমাদেরকে দেখবে। একজন বয়স্ক মহিলা তার সাথে দেখা করতে গেলে তাকে পাঁচতলার সিঁড়ি বয়ে উঠতে হয়। অনেকে পাইনি এখনো বয়স্ক ভাতা অফিস ও মাহাতাব ভাইয়ের বাসায় ঘোরার পরও । এজন্য আমরা নতুন মুখ এই ওয়ার্ডে চাইছি এ বিষয়ে কেন্দ্র করে এমন একটি অসৃঙ্খল ঘটনা ঘটে যায় মহল্লায়।
ঘটনাস্থলে আশা, এসআই বলেন আমরা বোয়ালিয়া থানার কোন এলাকাতেই নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা হতে দেব না যত দ্রুত সম্ভব আমরা সেখানে গিয়ে সেটা থামিয়ে দিব। আমরা চাই এবার যেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটি সফল হয়।