

মোস্তফা কে মুজেরী। ছবি: সংগৃহিত
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এটাই প্রধান করণীয় ছিল। এতে সুদহার বাড়বে, মানুষ কম ঋণ নেবে। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সুদহার দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুব বেশি কার্যকর পন্থা নয়। কারণ, সুদহার বাড়লেও ঋণ নেওয়া কমে না। এ ছাড়া উচ্চ খেলাপি ঋণ, বেনামি ঋণ, অর্থ পাচার—এসবও বড় সমস্যা। এসব এখনো রয়ে গেছে। সংকটের মধ্যেও এসব বন্ধে পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
দেশের বর্তমান বাস্তবতায় উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য প্রধানত দায়ী সরবরাহব্যবস্থা। এ জন্য বাজার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে হবে, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নীতি সুদহার বাড়ানো কতটা কাজে দেবে, তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একার পক্ষে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তাদের পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোও যদি জোরেশোরে কাজ শুরু করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ভালো ফল মিলবে, মূল্যস্ফীতি কমবে।
লেখক: সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংক