জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়মেলায় বহিরাগত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও আশে পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে বহিরাগত নারী -পুরুষ, শিশুরা মেলায় ভীর করেন। এতে ক্যম্পাসের পরিবেশ-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে এ মেলা আয়োজন করা হলেও নেই সেখানে বিজয়ের ছাপ। চচারদিকে শুধু দোকান আর দোকান।
সংশ্লিষ্টরা জানান বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের বিজমেলায় সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীদের আগমন ঘটেছে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।
সরজমিনে দেখা গেছে মেলাকে ঘীরে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, শহীদ মিনার, বটতলা বাজার, ট্রান্সপোর্ট সহ বিভিন্ন জয়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র ( টি এস সি) , আ.ফ.ম কামাল উদ্দিন হল, নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদের শৌচাগার ব্যবহার করতেও শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বিরম্বনায়। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মেলায় ভলো দিকগুলোর মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পিং ছাড়া চোখে পড়ার মতো তেমন কিছুই নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার মিম বলেন, বিজয়মেলায় এবারের মতো এতো মানুষের উপস্থিতি কখনো দেখা যায়নি। মেলায় বহিরাগত দর্শনার্থীদের জন্য আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়ছে।ক্যাম্পাসে বহিরাগত মানুষজনদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত রিক্সা ভারা সহ খাবারের দোকানগুলোতে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে।
অপর এক শিক্ষার্থী রায়হানুল ইসলাম বলেন, বিজয় মেলা আমাদের একটা উৎসব কিন্তু সেখানে বহিরাগতদের আগমনের জন্য আমাদের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যানজটের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিজয় মেলার নামে যে আয়োজন এতে পরিবেশ নষ্ট করছে, ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আজকে একটা বিশেষ দিন স্মৃতিসৌধকে কেন্দ্র করে অনেকেই ক্যাম্পাসে এসেছে, মুক্তমঞ্ছে অনুষ্ঠান, মেলাও হচ্ছে যার কারণে একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এত মানুষের সমাগম হওয়ার কারণে পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে, তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যেন কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে।