ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘি এ যেন এক অতিথি পাখির অভয়াশ্রম। প্রতিবছর শীত এলেই বিভিন্ন দেশ বিদেশ থেকে পাখিরা আশ্রয়ের খোঁজে আসে রামরাই দিঘীতে। এখানে এসে প্রকৃতিকে সাজাই নতুন সাজে।উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম এই রামরাই দীঘিতে শীতকালে অতিথি পাখির আগমন ঘিরে নান্দনিক সৌন্দর্যে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে। দিঘির জলে অতিথি পাখির কলকাকলিতে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এ যেন এক পাখির মেলা বসেছে। রাণীশংকৈল পৌর শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এ রামরাই দিঘিটি। প্রতিবছর শীত মৌসুমে রামরাই দিঘির জলে গাংচিল, পানকৌড়ি, পাতিহাঁস সহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমনে রামরাই দিঘির সৌন্দর্য পাখি প্রেমিক ও পর্যটকদের মন আকৃষ্ট করে তুলছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর উরন্ত দৃশ্যধারণের চেষ্টায় মেতেছেন কেউ কেউ আবার নৌকায় চড়ে পাখিদের খুনসুটি ক্যামেরায় ধারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। রামরাই দিঘির জলকেলিতে অতিথি পাখির অবাদ বিচরণ এখন সবার নজর কেড়েছে। ৪২ একর জমিজুড়ে এই রামরাই দিঘিটি অবস্থিত। দিঘীর পুকুর পাড়ে চারদিকে সাড়ে ৮’শ এর অধিক লিচুগাছ চারিদিক পুকুরের উচু টিলা গুলো দেখতে বেশ মনোমুগ্ধকর মনোরম পরিবেশ আকৃষ্ট করছে পর্যটকদেরকে। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন দিঘীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
রামরাই দিঘির কেয়ার টেকার হেদলু রাম বর্মন বলেন, ‘শীত এলেই রামরাই দিঘির জলকেলিতে, চোখে পড়ে নানা রঙ-বেরঙের নাম জানা,ও অজানা পাখির। এসব অতিথি পাখি প্রকৃতির বন্ধু, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব ও প্রেরণা। এ পাখিগুলোকে অচেনা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বন্ধুসুলভ আচরণ করা উচিত। এই পাখিগুলো রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন অতিথি পাখিদের অবাধবিচরণে কোনো ধরনের বাধা নেই বেআইনিভাবে পাখি শিকার হচ্ছে না। অনেক পাখি শিকারিরাও আসেন পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে আমরা সব সময় তাদের নিরুৎসাহিত করি। কারণ অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে আসে অতিথি হয়ে। এসব অতিথি পাখি অভয় আশ্রম হিসেবে এই রামরাই এর জলরাশিতে আশ্রয় নিয়েছেন