রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের খবর প্রকাশ হলো একবছর তিনমাস পর।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ পূর্বে হঠাৎ তিনমাস পূর্বের পদত্যাগ করার বিষয়টি একবছর তিন মাস পর প্রকাশ হওয়ার বিষয়টি আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সাধারন জনগনের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
পদত্যাগ পত্রে দেখা গেছে, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগকারী নেতা দাউকান্দি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক গত বছরের ২ অক্টোবর ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি’র আবেদন করেন। পদত্যাগ পত্রটির অনুরূপ কপি বুঝিয়া পাওয়া গেল বলেও পত্রে স্বাক্ষর করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে রাজশাহী-৫ পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা।
একজন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়া, দলীয় নেতা হিসেবে রাজনৈতিক দলের বর্ধিত সভায় বক্তব্য প্রদান ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি নির্বাচন অনুসন্ধান টিমের প্রধানের নিকট
অভিযোগ দায়ের হয়।
দাউকান্দি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর আচরন বিধিমালা ২০০৮ এর ১৪ (১) ও (২) বিধি লংঘন এর সামিল।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক আপনাকে দোষী সাব্যস্থ করে আপনার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট
ও পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবেনা তা স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ২৮ ডিসেম্বর ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এবং ব্যাখা প্রদানে ব্যার্থ হলে
আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ২৫ ডিসেম্বর নির্দেশ প্রদান করেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক স্ব-শরীরে হাজির হয়ে তিনি দলীয় পদ থেকে গত ২০২২ সালের ২ অক্টোবর অব্যাহতি দিয়েছেন বলে জানালে তার সঠিক প্রমান দেওয়ার জন্য জানায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
সেই মোতাবেক ৩১ ডিসেম্বর রবিবার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের পত্র নিয়ে
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের নিকট হাজির হন।
এবিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান যুগ্ন মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌস অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এর প্রদানকৃত ব্যাখ্যা প্রদানের পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়।
দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে একবছর তিন পূর্বে পদত্যাগের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, এবিষয়টি আমার জানানেই।