রংপুরে নিবন্ধিত/অনিবন্ধিত ৩ শতাধীকেরও বেশি গড়ে উঠা ক্লিনিকে একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। স্বজনদের আর্তনাদ,ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু দাবী স্বজনদের,আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিলেও পাচ্ছেন না কোনো প্রতিকার ভুক্তভোগীর পরিবার।
সিভিল সার্জনের তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস,নেয়া হবে কঠোর আইনী ব্যবস্থা।
চতুর্থ শ্রেনীতে পরে অর্ঘ্য, গতকাল সন্ধ্যায় মাহিগঞ্জের রগুর বাজার থেকে বাবা কে সাথে করে বাজারে জুতা আর নতুন স্কুল ব্যাগ নিয়ে সোজা চলে আসে রংপুর নগরীর নিরাময় ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোমে নাকের অপারেশন করাতে। অর্ঘ্যর বাবা ওয়াকিল রায় ছিলেন রংপুর বেতারের একজন গীতিকার, অপারেশনের আগেই ওপারের ডাকে চলে যায় তিনি এভাবেই বলেন তাঁর স্ত্রী সারথি রায়,এদিকে স্বজনরা বলছেন প্রশাসনের নাকের ডগায় নগরীর ভিতরেই এসব ক্লিনিকে একের পর এক ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে কেউ দেখছে না। ক্লিনিকের কাউকে না পাওয়া গেলেও এনেস্থেসিয়া ডাক্তার রেজাউল ইসলাম জানান অপরাশনের আগে রোগী কে অজ্ঞান করার জন্য প্রস্তুতি নিলে নার্ভ খুজে পাওয়া না গেলে অপারেশন করা হয়নি।রোগী সুস্থ্য ছিলেন।
এদিকে পুলিশ ঘটনাচক্রে অপারেশন থিয়েটারেই মৃত্যু অবস্থায় পায় ওয়াকিল রায় কে ।এ সময় ধাপ ফাঁড়ি,আরপিএমপি এর দায়িত্বে থাকা এস আই হাসান জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন দায় চাপালেন স্বজনদের প্রতি। আজকের এই ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ওয়াজেদ আলী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য রোগীর স্বজন রা বলেন অনেক দূরদুরন্ত থেকে সঠিক ও ভালো চিকিৎসার জন্য আসলেও এখানে দালালের খপ্পরে পরে অনেকেই প্রায় দিশেহারা হয়ে যায়, সঠিক চিকিৎসার অভাবে প্রাণ যায় অবশেষে, এর প্রতিকার কি কখনোই পাবেনা সাধারণ জনগন, এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন গণমাধ্যমের কাছে।
রংপুরে প্রতিনিয়ত ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান অব্যাহত থাকলেও নামে বেনামে গড়ে উঠা এসব অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে দিশেহারা ভুক্তভোগী পরিবার গুলো। তারা চায় সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ।