নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। ৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা পোঁনে সাতটার দিকে নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানায়, বিকাল ৫টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশেরর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) ও শাহ মখদুম থানার একদল পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকে। এরপর সন্ধ্যায় ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নেওয়া হয়।তবে, এ সময় অভিযানের অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার বাড়িতে অভিযানে যাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাড়িটিতে জামায়াতের বেশকিছু নেতাকর্মীর গোপন বৈঠকের খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ি থেকে কোনকিছু জব্দও করা হয়নি।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য এই চিকিৎসককে থানায় নেওয়া হয়েছে।
আরএমপির মুখপাত্র ও নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘ডা. ফাতেমার সিদ্দিকাকে আটক করা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, এইমাত্র খবর পেলাম ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশ নিয়ে গেছে। কেন নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারবো না। তিনি আমাদের একজন সুধী। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন।
উল্লেখ যে,রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের নামডাক রয়েছে তাদের মধ্যে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারলান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। গত ৪ এপ্রিল এই চিকিৎসকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়।
