শান্ত খান, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি:
দৈনিক যুগান্তরের ক্রাইম রিপোর্টার ইকবাল হাসান ফরিদকে (৪০) মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে বিষাক্ত কেমিক্যাল চোখে-মুখে ছিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভার সদর ইউনিয়নের কলমা এলাকায় হাজী মহর আলী স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ইকবাল হাসান ফরিদ দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত। তিনি সাভারের নিজ বাসা থেকে রাজধানী ঢাকায় নিয়মিত অফিস করেন। এ দিন কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে নিজ বাড়ির সামনে এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি।
জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার অফিস থেকে কাজ শেষ করে সাভারে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে হঠাৎ দুইজন দুর্বৃত্ত পেছন থেকে সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদকে ফরিদ ভাই বলে ডাক দেয়।
একপর্যায়ে সাংবাদিক ফরিদ পিছনে ফিরে তাকালে তার মুখ ও চোখ লক্ষ্য করে মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে বিষাক্ত কেমিক্যাল ছিটিয়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তার চিৎকার শুনে স্ত্রী রোজিনা আক্তার ফরিদকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ বলেন, ‘ ঢাকা থেকে অফিসের কাজ শেষ করে সাভারের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। ওই সময় হঠাৎ পেছন থেকে একজন ব্যক্তি আমাকে ডাক দেয়। আমি পিছনে তাকাতেই আমার চোখ-মুখ লক্ষ্য করে কেমিক্যাল ছুঁড়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।’ তারা দুইজন ছিল,ওই সময় দুর্বৃত্তরা যাওয়ার পথে সাভারের দুই রাজনৈতিক নেতার নাম উচ্চারণ করে বলেন দ্রুত সাভার থেকে দুই সাংবাদিক চলে যান, নইলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হবে।
উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তরে “সাভারে পাড়া-মহল্লায় শতাধিক কিশোর গ্যাং” নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ, চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্জামান পিপিএম বলেন, দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।