“করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ জাতীয় বীমা দিবস-২০২৪ উদযাপন করেছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। বীমা সম্পর্কিত জনসচেতনতামূলক নানা ধরনের ফেস্টুন, স্লোগান ও ব্যানারসহ বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গন থেকে র্যালিটি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় চারশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। র্যালি শেষে বাংলাদেশের বীমাখাত সম্পর্কিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সভাপতি মো. তৌহিদুল আলম বলেন, “বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষে সকল খাত সমানভাবে কাজ করে চলেছে এবং তারই অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বীমা খাতকে আরো প্রসারিত ও শক্তিশালী করার জন্য সম্প্রতি নানা ধরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ হতে নেওয়া হয়েছে যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আমি খুবই আশাবাদী। বিশেষ করে আজ থেকে ব্যাংকাসুরেন্স কার্যকরী হওয়ায় ব্যাংকগুলো বীমা কোম্পানীর পলিসিগুলো খুব সহজেই জনগনের দোড়গোড়ায় আস্থার সাথে পৌছে দিতে পারবে। এছাড়াও প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত একচ্যুয়ারির বাধ্যবাধকতা থাকায় বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী বীমা পলিসির সঠিক দাম নির্ধারণ করতে পারবে যা উভয়পক্ষের জন্য কল্যাণকর হবে বলে আশা করছি।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “আমরা ২০২০ সাল হতে ১লা মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে প্রতিবছরই পালন করি। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য মুজিবকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি খাতের মতো বীমা খাতের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের প্রতিটি মানুষকে বীমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য এক নিরলস প্রচেষ্টা চলছে এবং আমরা ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগও এই ধারাবাহিকতার অংশীদার ও অগ্রদূত হতে চাই। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বীমা খাতের দক্ষ মানবসম্পদ হয়ে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”
এছাড়াও বীমা দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে “বাংলাদশে বীমাখাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা” শিরোণামে বিশেষ রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যেখানে বিভাগের প্রত্যেক বর্ষ হতে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুইটা সাহা। পরে তাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটি তুলে দেন বিভাগের সভাপতি।
আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়।