নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন- নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন মানে জনগণের কাছাকাছি যাওয়া। এই যে আমি আপনাদের কত কাছাকাছি। মন্ত্রী থাকার পরেও আমি আপনাদের কাছাকাছি থাকি, কি আমাকে পাইছেন না। আপনাদের কাছে আসছি হাত মিলাচ্ছি, বুকে বুক মিলাচ্ছি ভোট ভিক্ষা করছি। এক সঙ্গে মিশতেছি, মিছিল করছি এটাই নির্বাচন। এটা উৎসব। জনগণকে এত কাছাকাছি পাওয়া যায় না আর কোন দিন। যে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয় আর যে প্রার্থী জিতে দুজনেই সমানভাবে জনগণের কাছে যায়। ভোট দিবে না দিবে সেটা জনগনের বিষয়। আপনারা আসেন, যে কথাগুলা গর্তের ভিতরে ঢুকে বলতেছেন, লন্ডন থেকে বলতেছেন, সে কথাগুলো আপনারা জনগণের কাছে বলেন। আমরাও নির্বাচন করেছি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যে মানুষটি আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়েছে, যে মানুষটি জাতি সত্ত্বার পরিচয় দিয়েছে। যে মানুষটি জাতীয় পতাকা দিয়েছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ করা হলো, জিয়াউর রহমান জয় বাংলা নিষিদ্ধ করে দিলেন, খুনীদেরকে আনলেন, শাহ আজিজ সালাউদ্দিন কাদেরকে দিয়ে রাজনীতি শুরু করলেন। এভাবে সব খুনী- অপরাধীদের রাজনীতিতে এনেছিলেন জিয়াউর রহমান।
আমরা কোন ষড়যন্ত্রে যাইনি, আমরা কোন বিপ্লবী দল নয়, আমরা গণতান্ত্রিক দল, আমরা বারবার নির্বাচনে গেছি। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের মার্শাল সরকার, এই সময় আওয়ামীলীগ নির্বাচনে গেছি, আমরা জণগণের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য নির্বাচন করেছি। আমরা ১৯৭৯ সালে নির্বাচন করেছি, মাত্র ৩৯ টি আসন হাতে ধরিয়ে দিয়েছে আমাদের। যে দলটা বাংলাদেশ সৃষ্টি করল মাত্র ৯ বছরের মাথায় জিয়াউর রহমান ৩৯ টি আসন হাতে ধরাই দিল। আমরা এরশাদের সময় নির্বাচনে গেছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিরল উপজেলার ৪ নং শহরগ্রাম ইউপির ফুলবাড়ী হাট উচ্চ মাঠে নৌকার নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্যকালে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন- সংসদ সদস্য প্রার্থী নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি। এসময় বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ¦ সবুজার সিদ্দিক সাগর, বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলী প্রমুখ।
খুনীদেরকে দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান; নৌ প্রতিমন্ত্রী
০
previous post