বরগুনায় প্রতিবছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয় রাধা কৃষ্ণের প্রেমের উত্সব রাস পূর্ণিমা। এ বছরেও ভিন্ন আয়োজনে উদযাপিত রাস পূর্ণিমার রাস উৎসব। হেমন্ত ঋতুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উত্সব হল রাস। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা এই দিনটিতে পূজিত হন। বৈষ্ণব তীর্থক্ষেত্র ও বিভিন্ন কৃষ্ণ মন্দিরগুলিতে মহাসমারোহ সহকারে রাস উত্সব পালন করা হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে সূর্য্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বরগুনার তালতলী উপজেলায় শুভ সন্ধা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে এ উৎসব উদযাপিত হয়।
তালতলী পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন বিশ্বাস বলেন, আমরা প্রতি বছরের মতো এ বছরও উৎসবের আয়োজন করেছি। আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের থেকে পরলোকগমন করেছেন, তাই তাদের আত্মার শান্তি ও আমাদের এক বছরের পাপ থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য আমরা স্বপরিবারে এই গঙ্গায় স্নান করতে আসি।
দ্বীপিকা রানী বলেন, মানবতা রক্ষায় দ্বাপর যুগে কংস রাজাকে বস করে পূর্ণিমা তিথিতে ঘটে রাধা-কৃষ্ণের পরম প্রেম। সেই থেকেই মূলত রাস উৎসবের প্রচলন। সত্য ও সুন্দরের জয়ের আকাঙ্ক্ষায় দীর্ঘ বছর ধরে তালতলীতে আমরা এ রাস উৎসব উদযাপন করে আসছি।
তালতলী থানার ওসি সহিদুল ইসলাম খান বলেন, রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে টহল টিম মোতায়েন রয়েছে। পর্যটন স্পটেও থাকবে পুলিশ।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, প্রতিবছর শুভ সন্ধ্যায় ওই অঞ্চলের সনাতন ধর্মের মানুষ গঙ্গা স্নানের করেন পূর্ণ লাভের আশায়। এছাড়াও অন্যান্য ধর্মের মানুষ এই দিনে উৎসব উপভোগ করতে আসেন।
তিনি আরো বলেন, এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে শুভ সন্ধ্যায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। এ বছর উৎসবমূখর ধর্মীয় ভাবগার্ম্ভীজের মধ্যে দিয়ে পুর্ণার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন। উৎসব সফল করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছে তালতলী উপজেলা প্রশাসন।