ফরিদপুর জেলার সালথায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি প্রায় শেষের দিকে। এখন জমিতে পুরোদমে হালি পেঁয়াজ রোপণের ধুম পড়েছে। বীজ থেকে উৎপাদিত চারা রোপণ করা হচ্ছে মাঠ জুড়ে। কৃষকরা বলছেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজে তারা আট-দশ গুণ লাভ পেয়েছেন। যে কারণে খেত থেকে উঠিয়ে ঐ পেঁয়াজ বিক্রির পরপরই আবার হালি পেঁয়াজ রোপণ শুরু করেছেন।
সালথা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেয়ে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০ হাজার ৮৮৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হতে পারে। এ উপজেলায় লাল তীর কিং, তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি-১সহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ রোপণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যবস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজ রোপনকারী রাকিবুল, ভাওয়াল ইউনিয়নের টিটুল মাতুব্বর, ইসাহাক শেখ ও লায়েক মোল্যা বলেন, এ বছর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠেই পেঁয়াজ চারা রোপণের ধুম পড়ে গেছে। প্রতিদিন ভোর থেকে পেঁয়াজের চারা উত্তোলনের পর জমিতে রোপণ করা হয়। এবছর জনপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করে কাজ করছে কৃষকরা। তবে একযোগে কাজ শুরু হওয়ায় কৃষকের চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১০-২০ দিনের মধ্যেই এলাকায় পেঁয়াজ রোপণ সম্পন্ন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যাতে সঠিকভাবে অর্জিত হয় সেজন্য সরকার কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৫’শ কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।