রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মায় জেলেদের জালে সাড়ে ২১ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছটি ৩৫ হাজার ৪৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া কুশাহাটা এলাকার পদ্মা নদীতে স্থানীয় জেলে শফিক হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে শফিক হালদার বলেন, দীর্ঘদিন পর নদীতে মাছ শিকারে বের হয়েছিলাম। শনিবার ভোর রাতের দিকে সহযোগীদের নিয়ে ট্রলারে করে পদ্মায় মাছ শিকার করতে যাই। বেশ কিছুদিন হলো নদীতে মাছ নেই বললেই চলে। ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে জাল ফেলে ৬ টার দিকে জাল তুলতেই কাতল মাছটি ভেসে ওঠে। পরে মাছটি বিক্রয়ের জন্য দৌলতদিয়া বাজারে অবস্থিত কেসমত মোল্লার মৎস্য আড়তে নিয়ে গেলে ৫নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যাবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা প্রতি কেজি ১ হাজার ৬শ ৫০ টাকা দরে মোট ৩৫ হাজার ৪৭৫ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, আজ সকাল ৭ টার দিকে দৌলতদিয়া বাজারে অবস্থিত কেসমত মোল্লার মৎস্য আড়তে মাছটি তোলা হয়। সাড়ে ২১ কেজি ওজনের কাতল মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৬শ ৫০ টাকা দরে মোট ৩৫ হাজার ৪৭৫ টাকায় কিনে নেন তিনি। পরে মাছটি বিক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হলে ঢাকার এক ব্যাবসায়ীর কাছে প্রতি কেজিতে ১ হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মোট সাড়ে ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি করেন বলে তিনি জানান।
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজিব বলেন, বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারনে এই মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। এছাড়াও এখন নদীতে পানি কমার কারনে এসব বড় বড় মাছ নদীতে পাওয়া যাবে। নদীতে পানি কমতে থাকলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়াল, বাগাড়সহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরো বেশি পাওয়া যেত। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে বলে তিনি জানান।