টেস্ট অভিষেকে অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারের নতুন রেকর্ড গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নিল ব্র্যান্ড, এর আগে যেটি ছিল বাংলাদেশের নাঈমুর রহমানের। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাঁহাতি স্পিনার ব্র্যান্ড নেন ১১৯ রানে ৬ উইকেট। রাচিন রবীন্দ্রর ডাবল সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তোলে ৫১১ রান।
গতকাল পঞ্চম বোলার হিসেবে নিজেকে আনেন ব্র্যান্ড। তবে উইকেটের দেখা পাননি। আজ তাঁর প্রথম উইকেটটি ছিল ড্যারিল মিচেলের। নিউজিল্যান্ডের পরের ৬ উইকেটের ৫টিই নেন ব্র্যান্ড। এসএটি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ সারির খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ডে, ফলে তাদের অধিনায়কেরও অভিষেক হয়েছে এ ম্যাচেই। ব্র্যান্ড তাতেই গড়ে ফেললেন রেকর্ড।
এমনিতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত বোলিং করে থাকেন এ ২৭ বছর বয়সী। ক্যারিয়ারে এর আগে ৫১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে এবারেরটিই তাঁর ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগার, আগের সেরা ছিল ৩৫ রানে ৪ উইকেট।
অভিষেকে অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং
বোলার ফিগার প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল নিল ব্র্যান্ড (দক্ষিণ আফ্রিকা) ৬/১১৯ নিউজিল্যান্ড মাউন্ট মঙ্গানুই ২০২৪
নাইমুর রহমান (বাংলাদেশ) ৬/১৩২ ভারত ঢাকা ২০০০
অব্রি স্মিথ (ইংল্যান্ড) ৫/১৯ দক্ষিণ আফ্রিকা পোর্ট এলিজাবেথ ১৮৮৯
জনি ডগলাস (ইংল্যান্ড) ৪/৫০ অস্ট্রেলিয়া সিডনি ১৯১১
ব্র্যান্ড ভাঙলেন বাংলাদেশের নাঈমুরের ২০ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে নাঈমুর ১৩২ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। টেস্ট অভিষেকে অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং ফিগার ছিল সেটি। নাঈমুর ভেঙেছিলেন প্রায় ১১১ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
১৮৮৯ সালে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অব্রি স্মিথ, যেটি ছিল তাঁর অভিষেক ম্যাচও। অভিষেকেই অধিনায়ক হিসেবে ৪ উইকেট আছে আর একজনের—ইংল্যান্ডের জনি ডগলাস।
এমনিতে ১৯৯৫ সালের পর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের অভিষেক টেস্টেই অধিনায়কত্ব করছেন ব্র্যান্ড (দেশেরও টেস্ট অভিষেকের হিসাব বাদ দিলে)। সে বছর ভারত সফরে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন লি জারমন।